Monday 6 March 2023

হোলিকা দহন

 

হোলি উৎসবের নেপথ্যে রয়েছে শ্রীমদ্ভাগবতের এক কাহিনী

হিরণ্যকশিপুর বোন ছিলেন হোলিকা, কঠোর তপস্যার ফলে ব্রহ্মার থেকে এক বর লাভ করেছিল যে আগুন এ তার শরীর পুড়বে না, যদি না তিনি এই ক্ষমতার অপব্যাবহার করেন। এদিকে হিরণ্যকশিপু তার পুত্রের হরি ভক্তি তে রুষ্ট হয়ে তাকে অনেক বার মারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন । তখন হোলিকা প্রহ্লাদ কে হত্যা করার জন্য হিরণ্যকশিপুর সাথে মিলে এক ষড়যন্ত্র করেন । ঠিক হয় হোলিকা প্রহ্লাদ কে কোলে নিয়ে জলন্ত চিতায় বসবেন । এতে প্রহ্লাদ পুড়ে মরবে । আর ব্রহ্মার বর থাকার জন্য হোলিকার কোন ক্ষতি হবে না । সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী হোলিকা প্রহ্লাদ কে কোলে নিয়ে চিতায় বসলেন । চিতায় আগুন লাগানো হল । প্রহ্লাদ তার পিসির কোলে বসে ভগবান বিষ্ণুর নাম জপতে থাকলেন ।দেখতে দেখতে পাহাড় সম আগুনের শিখা উঠলো । কিন্তু ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় ভক্ত প্রহ্লাদ এর তো কিছুই হল না, কিন্তু ব্রহ্মার সতর্কতা ভুলে ব্রহ্মা প্রদত্ত বরদানের অসৎ ব্যাবহার করার ফলে সেই বর নিষ্ফল হলো আর হোলিকা পুড়ে ছাই হলো । সেদিন ছিল ফাল্গুনী পূর্ণিমা, তাই এই দিন টি বসন্ত উৎসব নামে পালিত হয়ে আসছে । এই দিন টি হল অধর্মের ওপর ধর্মের বিজয় এর দিন ।পাপের ওপর পুন্যের বিজয়ের দিন ,আসুরিক শক্তির ওপর দৈবিক শক্তির বিজয়ের দিন ।হোলিকা ছিল দূরাচারী রাক্ষসী তাই তার মৃত্যুতে যে উত্‍সব পালন করা হয় তাকে হোলি উত্‍সব বলে। হোলির পূর্ব রাতে যেই আগুনের ঝোপ বানানো হয় তা আসলে হোলিকারই চিতা।

No comments:

Post a Comment

কৌশিকী অমাবস্যা

  ছবি  কৃতজ্ঞতাঃ- গুগল চিত্র পুরাণমতে, কৌশিকী অমাবস্যার শুভতিথিতে পরাক্রমশালী শুভ-নিশুম্ভ অসুর দুই ভাইকে বধ করার সময়েই দেবী পার্বতীর দেহের ...