অম্বুবাচী

আমাদের হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন  আনুষ্ঠানিক ক্রিয়া,ধর্মকৃত্য বা লৌকিক আচার,বিভিন্ন ব্রত। অম্বুবাচী ঠিক তেমনি একটি লৌকিক আচার।সেই অম্বুবাচী নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকরই মনে অনেক প্রশ্ন ও কৌতূহল জাগে। কি সেই অম্বুবাচী? বিভিন্ন অঞ্চলে লোকেরা অম্বুবাচী কে অমাবতি নামেও জানে। হিন্দু শাস্ত্রে পৃথিবীকে মাতৃভাবে ধারনা করা হয়। বেদ ও অন্যান্য পৌরাণিক গ্রন্থেও তার পরিচয় পাওয়া যায়। মা যেরূপ সন্তান দের জন্মদান করে নিজের স্তন্যদুগ্ধ দ্বারা সন্তানের আহার যোগায়, ঠিক তেমনি পৃথিবীর বুকে ও অসংখ্য জীবজন্তু, গাছপালা জন্মাচ্ছে গ্রহন করছে জল-বায়ু-আহার এই পৃথিবীর বুক থেকেই। হয়তো সেই ধারণা থেকেই যুগযুগ ধরে পৃথিবী কে মা হিসেবে গন্য করা হয়ে আসছে।

সূর্য যেসময় মিথুন রাশির আদ্রা নক্ষত্রে প্রবেশ করেন সেইদিন থেকে সূচনা হয় বর্ষা কালের এবং সূর্যের আদ্রা নক্ষত্রে প্রথম পাদে অর্থাৎ এক চতুর্থাংশে (৩˚।২০´) অবস্থান কালকে অম্বুবাচীর সময় বলে ধরা হয়। মেয়েদের ঋতুকালে রজঃস্বলা হয় ও একজন নারীর ঋতুকাল শেষের পরেই সন্তান ধারণে সমর্থ হন। ঠিক তেমনি ধারণা করা হয় যে প্রতিবছর সূর্যের এই আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদে অবস্থান কালে ধরণী মাতা ঋতুমতী হন এবং সেই সময়ে অম্বুবাচী পালিত হয়।  এই আচারের সাথে প্রাচীন কৃষি ব্যাবস্থার একটা সুসম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। আষাঢ় মাসের আরম্ভেতে বসুমতি মাতা যখন বর্ষার নতুন জলে সিক্ত হয়ে ওঠেন তখন তাকে এক  ঋতুমতি নারী রূপেই গণ্য করা হয় এবং তখন অম্বুবাচীর প্রবৃত্তি বা শুরু হয়, আবার তার ঠিক তিন দিন পরে সেটা নিবৃত্তি বা শেষ হয়। এই নিবৃত্তির পরই প্রাচীন কালে জমি চাষ শুরু করত কৃষকেরা। আজ ও  বিভিন্ন এলাকায়  এই নিয়ম পালন করা হয়। এই তিন দিন জমিতে কোন চাষবাস করা হয় না। নতুন বর্ষার জলে পৃথিবীর মাটি হয়ে উঠে নরম ও নতুন বছরে  নতুন ফসল উত্পাদনের উপযোগী হয়ে উঠে। ভারতের কোন কোন অঞ্চলে এই সময়কে রজোৎসব নামেও পালিত করা হয়। আসামের কামরূপের কামাখ্যা পাহাড়ে যেখানে দেবী মহামায়ার যোনি পরেছিল সেই স্থানে অবস্থিত দেবী কামাখ্যামন্দিরের দরজা  অম্বুবাচীর এই তিনদিন বন্ধ থাকে, চলে অম্বুবাচী মেলা। এইসময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক সাধু, সন্ন্যাসী ও ধার্মিক ব্যাক্তিরা এসে কামাখ্যা পাহাড়ে মিলিত হন। অম্বুবাচী নিবৃত্তির পরই খুলে দেবী মার মন্দিরের দরজা, অনুষ্ঠিত হয় মায়ের বিশেষ পূজা। এই বিশেষ মেলা পর্যটক ও দর্শনার্থী দেরও বিশেষ ভাবে আকর্ষিত করে এবং প্রতিবছরই এইসময়ে কামাখ্যা পাহাড়ে উপচে পড়ে অসংখ্য জনগণ।

প্রচলিত প্রথা অনুসারে ঋতুকালে মেয়েরা যেমন অশুচি থাকে ও সেই কারনে  কোন মাঙ্গলিক কর্ম থেকে তারা বিরত থাকেন, ঠিক একইরূপে বসুমাতা অম্বুবাচীর এই  তিন দিন অশুচি থাকেন বলে ধারনা করা হয়। এ সময়ে  ব্রহ্মচারী, সাধু,সন্ন্যাসী, যোগীপুরুষ, বিধবা মহিলারা কেউই আগুনের রান্না করা কিছু খান না, তার কারন হলো যেহেতু বসুমাতা ঋতুমতী সেইহেতু সেই সময় পৃথিবীর বুকে আগুন ধরানো হয় না। সেই সময় তারা নানাপ্রকার ফলমূল  ও কাঁচা দুধ খেয়ে থাকেন। যদিও এটা একটা লৌকিক আচার তবুও এই আচারের মাধ্যমে সমাজের জীবনব্যবস্থার একটি উন্নত ও  সুস্থ চিন্তাধারার পরিচয় পাওয়া যায়। 

নুতন সংযোজন

অম্বুবাচী বা অমাবতী এ কিন্তু সম্পুর্ন লোকাচার, এই সময়ের বিধি নিষেধ আমাদের শাস্ত্রে বর্ণিত নেই। আমাদের সনাতন শাস্ত্রে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে। বেদেও একই রকমই তাকে মা রূপে বর্ণনা করা হয়েছে, আবার পৌরানিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলা সম্বোধন করা হয়েছে।সেই লোকাচার অনুযায়ী মতে আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী ঋতুমতী হন। মহাজাগতিক ধারা অনুযায়ী পৃথিবী যখন সূর্যের মিথুন রাশিস্থ আদ্রা নক্ষত্রে অবস্থান করে সেদিন থেকে বর্ষাকাল শুরু ধরা হয়। পাশাপাশি আমরা জানি মেয়েদের ঋতুকাল বা রজঃস্বলা হয় এবং একজন নারী তারপরই সন্তান ধারনে সক্ষম হয় ।ঠিক তেমনি প্রতিবছর অম্বুবাচীর এই তিনদিনকে পৃথিবীর ঋতুকাল হিসেবে ধরা হয়।এরসঙ্গে প্রাচীন কৃষি ব্যবস্থা জড়িয়ে থাকায় এটির একটি সামাজিক প্রভাবও রয়েছে।তাই অম্বুবাচী’ একটি কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান হিসেবেই ধরা হয়। এই সময় ধরিত্রীর ঊর্বরাকাল।দেখা যায় এই তিন দিন জমিতে কোনও রকম চাষ করা হয় না যাতে বর্ষায় সিক্তা হয়ে পৃথিবী আবার নতুন বছরে নতুন ফসল উত্পাদনের উপযোগী হয়ে ওঠেন। আমাদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ঋতুকালে মেয়েরা অশুচি থাকে,শরীরে যাতে কোন আঘাত না লাগে তার ব্যাবস্থা নেওয়া হয় । ঠিক একই ভাবে পৃথিবীও এই অম্বুবাচী বা অমাবতির তিন দিন অশুচি থাকেন বলে চাষিরা আর মাঠে যান না হাল টানতে, বা কোন প্রকার মাটি কোপানো নিষিদ্ধ। এমন ও শোনা যায় এই সময় কালে পিঁপড়ে, উইপোকাও মাটি খোঁড়ে না সেই সময় কালে এখন ও বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ম রক্ষা হয়।ওড়িশাতে এটি ‘রজ উৎসব’ নামে পালিত হয়। এই সময়ে কৃষকেরা ছুটি পালন করেন। মেয়েদের কৃষি ও গৃহকর্ম থেকে পুরোপুরি বিরত রাখা হয়। অম্বুবাচীর দিনগুলি তাঁদের কাছে বিশ্রামের দিন। এই সময়ে তাঁরা নতুন জামা-কাপড় পরেন। সিঁদুর-আলতায় সুসজ্জিত হন।‘মিথুন সংক্রান্তি’ বা ‘রজ পর্ব’ নামে পরিচিত এই উৎসবও তিন দিন ধরে পালিত হয়। তিন দিনের প্রথম দিনটিকে বলা হয় ‘পহিলি রজো’। দ্বিতীয় দিন থেকে মিথুন মাস শুরু হয়। অর্থাৎ, বর্ষার প্রারম্ভ হয়। পুরাণ মতে, ভূদেবী এই সময় রজঃস্বলা হন। তৃতীয় দিনটি হল ‘ভূ দহ’ বা ‘বাসি রজো’। চতুর্থ দিনে বসুমতী স্নান। অর্থাৎ, ধরিত্রী মা বা ভূদেবীর স্নান। ভূদেবী হলেন জগন্নাথের স্ত্রী। পুরীর মন্দিরেও জগন্নাথের পাশে রূপোর ভূদেবীর মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। এই সময় শুধু মাত্র বিধবারাই নয় যারা ব্রহ্মচর্য পালন করেন যেমন: ব্রহ্মচারী ,সাধু ,সন্ন্যাসী ,যোগীপুরুষ ,বিধবা মহিলা তাঁরা কেউই কোনও ভাবে আমিষ খাদ্য গ্রহণ করেন না নিরামিষ খেয়ে থাকেন৷ যেহেতু এরা কেউই অশুচি পৃথিবীর উপর আগুনের রান্না করা কিছু খান না।এই সময় আগুনের আঁচে গরম করা কোনও খাবার তাঁরা খান না। আবার কোথাও কোথাও সূর্যের তাপে খাবার গরম করে নেওয়ার প্রথাও প্রচলিত আছে। বিভিন্ন ফলমূল খেয়ে এই তিন দিন কাটান। এই কারণে এখনও পরিবারে বয়স্ক বিধবা মহিলাদের তিনদিন ধরে অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে সেই নিয়ম পালন করতে দেখা যায়৷

The Hindu Goddess of Married Woman is Goddess Shahsti or Sasti. Although a minor deity predominantly worshiped in Bengal, Shashti is a manifestation of the Great Mother Goddess representing pregnancy and childbirth. She represents the fertility of both people and the land upon which they lived. 

DEPICTION: She is depicted holding a sword and shield in her lower hands while the upper holds kalasas. Her vahana is a black cat. She is shown seated on a large lotus. In her golden look, has a child seated on her lap symbolizing her powers to protect new born from evil powers and disease. She wears a prominent crown that associates her with Mother Goddess.

PUJA: Goddess Shahsti is associated with Skanda, God of War. Indeed she is also known as Skandamata and as an extension of Mother Durga. Although having rural origins or a folk-goddess, Sasti is worshipped on the sixth – shashti day following a child’s birth. This is when the father pays respects followed by the mother on the 21st day. On this day, partial fast is observed. Pujas are conducted to a figureless deity planted under a Kadamba tree. Usually this is a stone in the size of a human head decorated with flowers. Traditional offering is that of a hand-fan. Food offerings are fruits only. A black cat is also revered on that day. Otherwise it is symbolized in the deity stone. Women who have lost their children, those suffering miscarriage, quick with child and sickly children pray to Goddess Shahsti.

BRAHMA VAIVARTA PURANA: This is one of the major eighteen Puranas. It describes the creation of the universe – Brahma Khanda, Prakriti Khanda - description and histories of goddesses, Ganesha Khanda - life and deeds of Lord Ganesha and the final part to Lord Krishna. This Purana was written in Bengal and recited by the sage Suta in the Naimisharanya forests. In Krsna Janma Khanda, the final part, it declares Krishna to be the supreme God. It also develops the life of Radha-Krishna, thus deviating from the Bhagavata Purana. In Prakriti Khanda, Goddess Shahshti is depicted as the sixth aspect of Parama Prakriti – universal female energy.

MYTHOLOGY: Apparently a prosperous farmer had married all his seven sons to pretty girls. The youngest daughter in law was a greedy person. She steals food and blames it on a black cat. It was Puranic times and animal had anthropomorphic attributes. This cat takes revenge by hiding this woman’s new born babies and places them in a Shahsti temple. She finally prays to Shahsti. As repentance, she was asked to make an image of a cat to be worshipped along with Goddess Shahsti.

**********************************************************************************************

The popular legend behind Jamai Shasthi says that once upon a time a family lived in a small town. The youngest daughter-in-law of that family was a greedy woman. She used to consume most of the eatables and blame it on the cat that regularly came to their home.

The cat complained about the injustice to Goddess Shasthi. Later when the same daughter-in-law gave birth to seven sons and a daughter all her children were stolen. She was shattered and depressed. She went to jungle with her broken heart. On seeing her crying Goddess Shasthi felt pity on her and appeared before her as an old lady and asked the reason for her remorse.

The young woman narrated her sorrow, Goddess Shasthi reminded her of her past wrongdoings. She apologized for her behavior and asked for mercy. Then guised old woman asked her to perform some social rituals to get back the children.

Thus from that day onwards women folks takes the advantage of praying and performing puja to the Goddess Shasthi for their children on the sixth day of bright phase of Jyestha. Gradually this day developed as Jamai Shasthi - 

Source:www.festivalsofindia.in

*The ...E... life !!!!!*

*In this world of E-mails, E-ticket, E-paper, E-recharge, E-transfer and the latest E-Governance...*

*Never Forget "E-shwar ( God )"*

*who makes e-verything e-asy for e-veryone e-veryday.*

*"E" is the most Eminent letter of the English alphabet.*

*Men or Women don't exist without "E".*

*House or Home can't be made without "E".*

*Bread or Butter can't be found without "E".*

*"E" is the beginning of "existence" and the end of "trouble."*

*It's not at all in 'war'but twice in 'peace'*

*It's once in 'hell' but twice in 'heaven'.*

*E"represented in 'Emotions'*
*Hence* *all emotional relations like Father,Mother,Brother, Sister,wife & friends have 'e' in them.*

*E" also represents 'Effort' & 'Energy'*
*Hence to be 'Better' from good both "e" 's are added.*

*Without "e", we would have no love, life, wife, friends or hope*

*& 'see', 'hear', 'smell', or 'taste' as 'eye' 'ear', 'nose' & 'tongue' are incomplete without "e".*

*Hence GO with "E" but without E-GO.

Prayer Song

“Daya Kar Dan Bhakti Ka

Hamen Paramatma Dena

Daya Karna Hamari Atma

Main Shudhata Dena

Hamere Dhyan Main Aao

Prabhu Ankon Main Bas Jao

Andhere Dil Main Aa Kar Ke

Param Jyoti Jaga Dena

Bahado Prem Ki Ganga

Dilon Main Prem Ka Sagar

Hamen Aapas Main Miljulkar

Prabhu Rehna Sikha Dena

Hamara Karam Ho Seva

Hamara Dharam Ho Seva

Sada Iman Ho Seva

Wa Sevakchar Bana Dena

Vatan Ke Vaste Jeena

Vatan Ke Vaste Marna

Vatan Par Jan Fida Karna

Prabhu Humko Sikha Dena”

भारत स्काउट एवं गाइड प्रार्थना

दया कर दान भक्ति का हमें परमात्मा देना,

दया करना हमारी आत्मा में शुद्धता देना .

हमारे ध्यान में आओ ,प्रभु आँखों में बस जाओ,

अँधेरे दिल में आकर के ,परम ज्योति जगा देना.

बहा दो प्रेम की गंगा,दिलो में प्रेम का सागर,

हमे आपस में मिलजुलकर प्रभु रहना सिखा देना.

हमारा कर्म हो सेवा,हमारा धर्म हो सेवा,

सदा ईमान हो सेवा व सेवकचर बना देना.

वतन के वास्ते जीना,वतन के वास्ते मरना,

वतन पर जां फ़िदा करना प्रभु हमको सिखा देना.

दया कर दान भक्ति का हमें परमात्मा देना,

दया करना हमारी आत्मा में शुद्धता देना.

Flag Song

“Bharat Scout Guide

Jhanda Uncha Sada Rahega

Uncha Sada Rahega Jhanda

Uncha Sada Rahega

Neela Rang Gagan Ka Visrit

Bhratru Bhav Phailata

Tridal Kamal Nit Teen

Pratignaon Ki Yaad Dilata

Aur Chakra Kehta Hai Pratpal

Age Kadam Badega

Uncha Sada Rahega

Jhanda Uncha Sada Rahega”

भारत स्काउट एवं गाइड झंडा गीत

भारत स्काउट गाइड झंडा ऊँचा सदा रहेगा,

ऊँचा सदा रहेगा झंडा ऊँचा सदा रहेगा.

नीला रंग गगन सा विस्तृत भात्र भाव फैलाता,

त्रिदल कमल नित तीन प्रतिज्ञाओं की याद दिलाता.

और चक्र कहता है प्रतिपल आगे कदम बढेगा,

ऊँचा सदा रहेगा झंडा ऊँचा सदा रहेगा.

भारत स्काउट गाइड झंडा ऊँचा सदा रहेगा.