আমাদের শাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন তিথি অনুযায়ী বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে নিষেধ আছে।
যেমন
v প্রতিপদ তিথিতে চালকুমড়া,
v দ্বিতিয়াতে বৃহতী (এক প্রকার গোল সাদাবেগুন)।
v তৃতীয়াতে পটল,
v চতুর্থীতে মূলা,
v পঞ্চমীতে বেল,
v ষষ্ঠীতে নিমপাতা ,
v সপ্তমীতে তাল,
v অষ্টমীতে নারকেল,
v নবমীতে অলাবু
অর্থাৎ লাউ,
v দশমীতে কলমিশাক,
v একাদশীতে শিম,
v দ্বাদশীতে পুঁইশাক,
v ত্রয়োদশীতে বার্ত্তাকু বা বেগুন,
v চতুর্দশীতে মাষকালাই খাওয়া উচিত নয়।
এছাড়াও অষ্টমী, চতুর্দ্দশী পুর্ণিমা,অমাবস্যা ও সংক্রান্তিতে
মাছ,মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। ভাদ্রমাসে লাউ,মাঘমাসে মূলা ও চৈত্র মাসে শিম খাওয়া
নিষিদ্ধ। রবিবারে মাছ,মাংস,মসুর,নিম,আদা ও দুগ্ধজাত খাবার বর্জনীয়।
আচ্ছা আপনাদের কি মনে হয় এগুলো কি নিছক কুসংস্কার?? আমাদের
অজ্ঞানতাকে আড়াল করতে আজ আমরা এই গুলিকে কুসংস্কার বলে সহজেই চালিয়ে দেই। আসলে ভিন্ন ভিন্ন তিথিতে চন্দ্রের আকর্ষণে
প্রাণীর শরীরে বিভিন্ন রসের তারতম্য ঘটে,এবং সেই রসের সাথে যে যে খাবারের রস মিশলে শরীরের অনিষ্ট হতে পারে সেই
সকল খাবারই ঐ সকল তিথিতে নিষিদ্ধ। বিভিন্ন তিথিতে শরীরের এই তারতম্য বুঝতে না পারলেও
অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে তা বেশ বুঝতে পারা যায়। শরীরে কাটা-ছেড়া, ব্যাথা বা
অন্য যে কোন অসুখ থাকলে ঐ দুই তিথিতে বেশ টের পাওয়া যায়। ভাদ্রমাসে লাউ, মাঘমাসে
মূলা ও চৈত্রমাসে শিম নিষিদ্ধের কারন হলো সেই সময় সেই সকল গাছ শুকিয়ে পড়ে, ফসল
ছিবড়া যুক্ত হওয়ায় হজমে বাধা দেয় ও পেটের অসুখের কারণ হতে পারে।
রবিবারে মাছ,মাংস,মসুর,নিম,আদা ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে বারণ
করা হয়েছে, রবিবার সাপ্তাহিক অবকাশের দিন এমন দিনে বাধ্যবাধকতা কি মানতে চায়???
চায় না। আমাদের জিহ্বার চিহিদা পূরনের চাইতে অতি প্রয়োজনীয় কি আর কিছু আছে? যতদিন
অব্দি না আমাদের শরীর কোন অসুবিধা দিচ্ছে ততদিন আমরা শরীরের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাই,
ঠিক যেমন মধুমেহ (ডাইবেটিস) হলে আমাদের অতি প্রিয় মিষ্টযাত খাবার ও উচ্চ রক্তচাপ
জনিত অসুখে তৈলাক্ত খাবার আমরা বর্জন করি।
No comments:
Post a Comment