ভালোবাসা...
শব্দটির মধ্যে এক চৌম্বকীয় শক্তি লুকিয়ে আছে।মুহুর্তের মধ্যে মনের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দেয়।ভালোবাসা সে যে এক নৈস্বর্গিয় অনুভুতি...খুব কম মানুষের ভাগ্যেই তা জোটে...আর যারা প্রকৃত ভালবাসার অধিকারী তাঁরা সত্যি ভাগ্যবান। যুগের পরিবর্তনের সাথে ভালোবাসার সংজ্ঞাও পাল্টে গেছে...আজ ভালোবাসা সম্পর্ক খোজে...অন্ধকার অলি-গলিতে নিষিদ্ধ প্রেমের নাম ভালোবাসা...পথে-ঘাটে, বাগানে ময়দানে নারী-পুরুষের হাত ধরে হাঁটাচলা হলো ভালোবাসা... উন্মুক্ত স্থানে লজ্জার মাথা খেয়ে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকার নাম ভালোবাসা... সোশাল মিডিয়াতে এমন সব ছবির প্রকাশ করা যা কিনা নিজের একান্ত ব্যাক্তিগত যা শোবার ঘর...নিজের ঘরের বাইরে যাওয়া নিতান্ত অশোভনীয়...তার নাম ভালবাসা...।হ্যা ঠিক তাই আর তাই শিখছে নুতন প্রজন্ম। তাই তো আজ কারো কোন প্রেমিক বা প্রেমিকা না থাকা বন্ধুসমাজের কাছে নিতান্তই হাস্যকর ও লজ্জাজনক। নিজের জীবনে কিছু হোক না হোক প্রেমিক/প্রেমিকা চাইই চাই।তাইতো ভালবাসা শব্দটি শুনলে কারো কারো ভুরু কুঁচকে যায়, ঠোঁটের কোনে তির্যক হাসি ফুটে উঠে....আর সেই জন্যেই বোধকরি রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রেম নিয়ে কুৎসা রটনা করতে মানুষের দ্বিধা বোধ হয় না......তাদের দোষ কি তাঁরা তো ভালোবাসার অর্থই জানে না বা জানতে চায় না ...জানবে কি করে ভিতরটা যে নোংরা আবর্জনায় ভরে আছে। ভালোবাসা সম্পর্ক খোজে না...ভালোবাসা মনের আন্তরিকতার পরিচয়...ভালোবাসা নিস্বার্থ...ভালোবাসা বিনিময় চায় না...ভালোবাসার কোন দাম নেই ......ভালোবাসা কোন প্রদর্শনীয় বস্তু না...। প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী হলেই যে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয় দেখতে পাওয়া যাবে সে কিন্তু নয়। এমন অনেক উদাহরন আছে যেখানে সেই সকল সম্পর্ক বজায় থাকে ততক্ষণ যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজের চাহিদা মিটছে তা শারীরিক হউক বা অন্য কিছু......শুনতে খারাপ লাগলে এটাই বাস্তব। হতভাগ্য সে... যে ভালোবাসার ভাণ্ডার নিয়ে নিভৃত অন্তরালে একাকী তাঁর ভালবাসার...মনের মানুষ খুঁজছে... আর তা না পেয়ে কেঁদে কেঁদে মরছে ... মোহাচ্ছন্ন পৃথিবীবাসীর অজ্ঞতার অন্ধকারে তাঁর চোখের জল ঢাকা পরে থাকে চিরকালের জন্যে...... যেদিন আমরা সেই ভালোবাসার দাম দিতে শিখবো সেদিনই হবে ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপনের চুড়ান্ত সার্থকতা...।।
দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী (শিলং)
No comments:
Post a Comment