AI হলো
Artificial Intelligence এর
সংক্ষিপ্ত রূপ যাকে সহজ বাংলায় বলাযেতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা । এটি হলো এমন এক প্রকার বিজ্ঞান যা
যন্ত্রের সাহায্যে
মানুষের
মতই চিন্তার ক্ষমতা
সৃষ্টি করে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্রগুলি
স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিখে চলে এবং বিভিন্ন তথ্য
স্বং
প্রক্রিয়া করে তার
যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়ে
যেকোন সমস্যার দ্রুতগতিতে
সমাধান
করে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদাহরণ
হিসাবে রোবোট, কনভার্টার, স্পিচ রিকগনিশন, চ্যাটবট, স্বাধীন গাড়ি, ভূ-নির্দেশনা, মেডিকেল
ডায়াগনোস্টিক, অনুবাদ সিস্টেম, গেম ডিজাইন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবিষ্কারকের হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া যেতে
পারে মধ্যকালের বৈজ্ঞানিক ও গণিতবিদরা যেমন-
আল-খোরেজি, আল-খায়্যাম, লিয়োনার্ডো ফিবোনাচ্চি, গোট্টফ্রেড লেবে, আলেক্সান্ডার বেল,
চার্লস বেবিজ, আর্থার স্যামুয়েল, জন ম্যাকার্থি, আর্থার লি, জন হপফিল্ড, আন্ড্রিউ
নিগেল, জিফরি হিন্টন, জেরি ফাউন্ডাজন, জেফিরি হিন্টন, সেবাস্টিযান থান্নিসমির, যারা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে
থাকেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রথম আবিষ্কার হলো১৯৫৬ সালে, যখন জন ম্যাকার্থি, আর্থার স্যামুয়েল, জন
হপফিল্ড, আর্থার লি, জেফিরি হিন্টন, সেবাস্টিযান থান্নিসমির ইত্যাদি বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রথম শৃঙ্খলা আয়োজন করেন।এই বিষয়ে
উন্নতমানের গবেষণা ও তার তারা প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে
করেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন
যন্ত্রগুলি অত্যন্ত
দ্রুততার সাথে তথ্য প্রসেস করতে পারে, যা মানুষের কাজের
সাথে তুলনা করে দ্রুত হতে পারে। এইসকল যন্ত্র গুলির ভুলের
সম্ভাবনা খুবই কম কারণ
এর প্রোগ্রামিং
গুলি এমন নির্ভুল ভাবে তৈরি করা
হয় যা বিভিন্ন সম্ভাবনার মাধ্যমে সঠিক নির্ণয়ে
আসতে পারে । এর মাধ্যমে কর্মপ্রাণালীর
উন্নয়ন এমন নিখুত ও সঠিক হয় , যা কাজের দক্ষতা
ও দ্রুততা বাড়িয়ে দেয় এবং এতে মানুষের বিশেষ পরিশ্রমের
প্রয়োজন হয়না।
কিন্তু এর উপকারের বিপরীতে
অনেক অপকার ও পরিলক্ষিত হয়
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন
যন্ত্রগুলির কিছুটা সীমাবদ্ধতা
এবং সন্দেহজনক অবস্থায় কাজ
করে থাকে যা
কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার উৎস হতে পারে আর এর
ব্যাবহারের মাধ্যমে নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যা
উত্পন্ন হতে পারে, যেমন কম্পিউটার হ্যাকিং বা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত
তথ্যের যথেচ্ছ ব্যবহার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
নিয়ন্ত্রণহীনব্যাবহারের ফলে বিভিন্ন নৈতিক
সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে,
যেমন নির্দিষ্ট কাজের জন্যে মানুষের পরিশ্রমের প্রয়োজন কমে যেতে পারে এবং তাই ঘটছে আজকাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে
এই একবিংশ শতাব্দীর আশ্চর্য যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, তাতে
কারো কোনো সন্দেহ নেই! আমরা
বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারই
প্রয়োগ করছি
যাতে আমাদের সময় বহুলাংশে তো বাঁচছেই এবং এরই সাথে নানাতকম
কাজও অনেক সহজ ভাবে সম্পন্ন
করা যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে এমনই এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ChatGPT যেভাবে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে, তাতে হয়তো আগামী কিছুদিনের মধ্যেই মানুষকে দূরে
সরিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পাকাপাকিভাবে তার জায়গা করে নেবে। আসলে চ্যাটবট হিসেবে আগে থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হলেও, গত নভেম্বরে
ChatGPT নামক একটি বিশেষ বা স্বতন্ত্র উপকরণ
চালু হয় যার কার্যক্ষমতা আমাদের কারো অজানা নয় এর কার্যক্ষমতায়
আজ গোটা বিশ্ব
মুগ্ধ। এইটি যেভাবে বিভিন্ন কঠিন কাজ উদাহরণ স্বরূপভাবে ক্রিয়েটিভ রাইটিং, কঠিন কঠিন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, অঙ্ক করা ইত্যাদির
দক্ষতা দেখাচ্ছে এতে অনেকেই নানা পেশার
চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছেন
আর এই আশঙ্কাই
এখন ধীরে ধীরে
বাস্তবে পরিণত হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই বেশ
কিছু মানুষ চাকরি হারিয়ে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন, সম্প্রতি
কলকাতায় এক
২২ বছর বয়সী তরুণীর চাকরি কেড়ে তার জীবন সম্পূর্ণ উলটপালট
করে দিয়েছে
এই ChatGPT।
……শ্রীদেবাশীষ চক্রবর্ত্তী