নববিধা ভক্তি:
শ্রবনং কীর্ত্তনং বিষ্ণোঃ
স্মরনং পাদ সেবনং |
অর্চ্চনং বন্দনং
দাস্যনং সখ্যমাত্ম নিবেদন ||
শ্রবণ, কীর্ত্তন, বিষ্ণু স্মরণ, অর্চন, বন্দন, দাস্য, সখ্য, ঈশ্বর সেবা, ঈশ্বরে পূর্ণ আত্মনিবেদন ভক্তির এই নয়টি অঙ্গকে
একত্রে নববিধা বা নব লক্ষণা ভক্তি বলা হয় |
ভগবান শ্রীরামচন্দ্র ভক্তিমতি মাতা শবরীকে যে নববিধা ভক্তির
শিক্ষা প্রদান করেছিলেন তা নিম্নরূপ~
" হে শবরী , আমি এখন তোমাকে নববিধা ( নয় প্রকার ) ভক্তির কথা বলছি
, তুমি
সাবধান হয়ে শুন আর মনে ধারন করো -
১. প্রথম ভক্তি হলো সাধু সন্তের সৎসঙ্গ ,
২. দ্বিতীয় ভক্তি হলো আমার কথা প্রসঙ্গে প্রেম ,
৩. তৃতীয় ভক্তি হলো অভিমান রহিত হয়ে গুরুর চরন কমলের সেবা
করা ,
৪. চতুর্থ ভক্তি হলো ছল ,
কপট ছেড়ে আমার গুনসমূহের গান করা ,
৫. পঞ্চম ভক্তি হলো আমার নাম (রাম মন্ত্রের) জপ করা , আমার
প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখা যা বেদে প্রসিদ্ধ আছে ,
৬. ষষ্ঠ ভক্তি হলো ইন্দ্রিয়ের নিগ্রহ , শীলস্বভাব
, কার্যে
বৈরাগ্য আর নিরন্তর সাধু সন্ত পুরুষদের ধর্ম আচরনে লেগে থাকা ,
৭. সপ্তম ভক্তি হলো এই জগতকে সমভাবে আমাতে ওতপ্রোত ভাবে
দেখা আর সাধু সন্তদের আমার থেকেও অধিক মান্যতা দেওয়া ।
৮. অষ্টম ভক্তি হচ্ছে যাকিছু পাওয়া যায় তাতেই সন্তুষ্ট থাকা
আর স্বপ্নেও অপরের দোষ না দেখা ।
৯. নবম ভক্তি হচ্ছে সরলতা আর সবার সঙ্গে কপট রহিত ব্যবহার
করা, হৃদয়ে
আমার প্রতি বিশ্বাস রাখা আর যেকোন অবস্থাতেই হর্ষ আর বিষাদ না করা ।
এই নববিধা ভক্তির মধ্যে যার ভিতর যেকোন একটি ভক্তিও
এসে যায় , এবার
সে পুরুষই হউক বা নারীই হউক, জড়ই হউক বা চেতনই হউক, হে ভামিনী ! আমার কাছে সে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে যায় ।
অতপরঃ তোমার মধ্যেতো সবধরনের ভক্তিই দৃঢ় আছে .... অতএব যে গতি যোগীদেরও দুর্লভ, সেটাই
আজ তোমার জন্য সুলভ হয়ে গেছে ।